
উড়ান (দ্বিতীয় পর্ব)
।।৫।। মানুষের সময় সবসময় একরকম যায় না। আর কথাতেই আছে, সুখ ক্ষণস্থায়ী। বাবাই-এর জীবনটাও তাই। বাবার রিটায়ারমেন্টের পর ওর উপার্জনে যেই সংসারটা একটু স্বচ্ছলতার মুখ দেখতে শুরু করেছিল তখনই এরকম
।।৫।। মানুষের সময় সবসময় একরকম যায় না। আর কথাতেই আছে, সুখ ক্ষণস্থায়ী। বাবাই-এর জীবনটাও তাই। বাবার রিটায়ারমেন্টের পর ওর উপার্জনে যেই সংসারটা একটু স্বচ্ছলতার মুখ দেখতে শুরু করেছিল তখনই এরকম
“তাড়াতাড়ি ওঠ বাবাই, রোজ রোজ এই সকালে তোকে ডাকা আমার আর পোষায় না। আজও কী ক্লাসে যাবি না নাকী? এবার বের করে দেবে কলেজ থেকে|” পেঁয়াজগুলো কুচিয়ে হাতটা ধুতে ধুতে
।।৫।। গভীর নিম্নচাপের কারণে, পুরো কলকাতা আজ কার্যত ভাসছে, জল জমে অচলাবস্থা বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে। বসার ঘরে টিভিতে কলকাতার অবস্থা যতই দেখাচ্ছে, ততই টেনশন বাড়ছে নীলিমা দেবীর। পইপই করে বারণ
।।১।। “ফিরতে রাত হবে, খেয়ে নিও” বলতে বলতেই পা-এর চটিখানা গলিয়ে বেরিয়ে এল ফ্ল্যাট থেকে সাগ্নিক। মোবাইলে টাইমটা দেখলো, সময় তখন ৮টা। সিগারেটটা ধরিয়ে হাঁটা লাগালো, সামনের গলিটা পেরিয়েই ডান
।।১।। -“ম্যাম, আপনার কালকের মিটিংটা পোস্টপন্ড করে দিচ্ছি তবে।” -“হ্যাঁ, আর শোন, খুব দরকার না হলে আমায় ফোন করো না কাল, ওকে? চলো, আমি বেরচ্ছি।” ব্যাগটা নিয়ে অফিস থেকে বেরতে
।।১।। উফফ, আমার কানের নীল ঝুমকোটা কোথায় রাখলে মা, খুঁজেই পাচ্ছি না, দেরী হয়ে যাচ্ছে তো।”- তাড়াহুড়োয় মা কে হাঁক দিলাম, ওদিকে লিপস্টিকের শেড আর ছোট না বড় ব্যাগের ধাঁধায়
আজ, আরও একবার, না, কোন গল্প নয়, বেশ কটা কথা বলতে চাইছে মনটা। প্রতিবাদ করতে লেখার আশ্রয় ছাড়া আর উপায় কী? আমাদের দৈনন্দিন জীবনে, মানে, খাওয়া, ঘুম, ওঠা, বসা, প্রেম,
হাতের গাছকৌটো, শাড়ির আঁচল আর মনের অনেকটা দ্বন্দ্ব সামলে যখন কনের সাজে বসলাম, তখন সন্ধ্যে নামছে। নতুন শাড়ী, গয়না, কত উপহার, কত লোকজন, হইহই, সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু আমি, এটা দেখে মনে
।।১।। চাটুজ্জ্যে বাড়িতে এই সময় কাকচিল আর বসার সাহস পায় না, চারপাশ থেকে যা চিলচিৎকার ধেয়ে আসে, তীর ধনুকের মত, কার সাধ্যি এই গরমে জিরেন করে একটু। পাড়াতেও সকলের জানা,
না, আজকে কোন গল্প নয়, কারণ গল্প বলার থেকেও কিছু কথা জানার জন্য মনটা হাঁকপাঁক করছে। তাই ঠিক করলাম এই সমস্ত প্রশ্নগুলো আজ আমার পাঠকদের সামনেই রাখি। তাহলে শুরু করা