
পাঁচ ঘন্টা পর (প্রথম পর্ব)
।।১।। -“মা, তাড়াতাড়ি চুলটা বাঁধো না, এত বড় চুল খুলে গেলে আবার ঝাড় খাবো, বড়দির চোখে পড়লে তো কথাই নেই, ও মা।।। মা।” -“আরে দাঁড়া, ভাত খেয়ে উঠে তো চলে
।।১।। -“মা, তাড়াতাড়ি চুলটা বাঁধো না, এত বড় চুল খুলে গেলে আবার ঝাড় খাবো, বড়দির চোখে পড়লে তো কথাই নেই, ও মা।।। মা।” -“আরে দাঁড়া, ভাত খেয়ে উঠে তো চলে
-“কীরে, খাবারটা এখনো খাসনি? কখন রেখে গেলাম,” বলতে বলতেই ঘরে ঢুকলেন বেলাদেবী। সাগ্নিক নিজের ঘরেই আছে আজ সারাদিন, ছুটি নিয়েছে আজ। জানলাটা দিয়ে খেলার মাঠটার দিকেই চেয়ে রয়েছে অন্যমনস্কভাবে। জানলার
(কয়েকদিন পর) -“কানাই, দিদি কোথায়?” চৌকাঠ পেরিয়ে এই বাড়িতে ঢুকে প্রথম এই প্রশ্নটাই করলেন বেলাদেবী। বেশ কিছুদিন পর এই বাড়ি এলেন, এই ভাবে,এই পরিস্থিতিতে আসতে হবে কখনো ভাবেননি। কানাই হাতের
কলেজের ফেস্ট থেকে আজ একটু তাড়াতাড়িই বেরিয়ে পড়ল দেবাংশী। তাড়া আছে আজ, মা-এর সাথে বেরোতে হবে আর আধ ঘন্টার মধ্যে, নয়তো মা আর বেরবে না। তাড়াতাড়ি পা চালাচ্ছিল দেবাংশী। তখনই
-“হ্যাঁ মা, বলো, কোথায় তুমি, কতদূর?” -“এই পৌঁছেই গেছি প্রায়। পৌঁছে ফোন করছি, অ্যালার্ট থাকিস, দরজাটা খুলিস।” ফোনটা রেখে দোকানে ঢুকল দেবাংশী। হালকা গয়না, ছোট্ট টিপ, কাজল, খোলা চুলে আর
।।১।। -“না মা, আমার সত্যিই আজ হবে না, অফিসে আজ ছুটি পাবো না গো। তুমি বারবার বললে যেতে না পারলে খুব খারাপ লাগে আমার। কিন্তু কিছু করার নেই তো।।।” -“হয়ে
।।১।। “আরে, ও মা, দরজাটা খোলো না, কখন থেকে বেল মারছি, ধ্যুর”, বলতে বলতেই বাড়ির দরজায় বারবার অস্থিরভাবে বেল মারছিল শিবাঙ্গী। ঘড়ির কাঁটায় চোখ বোলাল একবার। গুনে গুনে ছ’মিনিট ধরে
নীলিমাদেবী হাতের থালাটা তাতানের ঘরে রেখে দিলেন, ছেলের প্রিয় চাউমিন বানিয়েছিলেন অনেকদিন পর। বাড়ির সাধারণ আলু, পেঁয়াজ, সবজি, টমেটো-সস দিয়ে চাউমিনটা তাতানের ছোট থেকেই লাঞ্চবক্সের প্রিয় আইটেম ছিল, ওটাই আজ
।।১।। -“পার্সেল? কোন পার্সেল? কই জানি না তো কিছু।” ছেলের সাথে কথা বলতে বলতে মাথা মুন্ডু কিছুই বুঝছিলেন না নীলিমাদেবী। খানিক বাকবিতণ্ডার পর ছেলের মুখে “হ্যাপি বার্থডে মা” শুনে হাসি
“আজ অবধি মুখের উপর কেউ কথা বলতে পারেনি, তোমার সাহস দেখে তো আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি। আমি সব ব্যবস্থা করে দিচ্ছি, তুমি নিজের ছেলেকে নিয়ে ‘আমন্ত্রণ’-এই থাকবে, ব্যস। আমি আর