
তুমি রবে নীরবে
।।১।। “বাবু, তোকে আর কতবার বলতে হবে, রোজ একবার করে অন্তত প্র্যাকটিসটা করবি question bank টা। আজও তো করলি না।” পেটির মাছের পিসটা একমাত্র ছেলের বাটিতে তুলতে তুলতে কথাগুলো ছেলের
।।১।। “বাবু, তোকে আর কতবার বলতে হবে, রোজ একবার করে অন্তত প্র্যাকটিসটা করবি question bank টা। আজও তো করলি না।” পেটির মাছের পিসটা একমাত্র ছেলের বাটিতে তুলতে তুলতে কথাগুলো ছেলের
।।১।। ট্রাঙ্ক থেকে ন্যাপথালিন দেওয়া গুটি কয়েক তোলা শাড়ি থেকে একটা শাড়ি বের করছিল মায়া । ছোট্ট দু’কামরার ঘরে এককোণে খাট, ছোট্ট আলনা, ট্রাঙ্ক, কুঁজো, তেলচিটে রান্নাঘরের নুন, তেলের কৌটোর
।।১।। সাউথসিটির ১২তলার বিলাসবহুল এই ফ্ল্যাটে এখনও সকাল হয়নি। সূর্যের আলো ঘরে ঘরে উঁকি দিলেও এই ঘরে দিতে পারেনি, দামী পর্দা পেরিয়ে তার ঢোকার অনুমতি নেই কিনা। ঘড়ির কাঁটা জানান
।।১।। চোখে সোনালী ফ্রেমের চশমার আড়ালে ঘন কালো কাজলে মোড়া বড় চোখদুটো সামনের দেবদারু গাছটার দিকে তাকিয়ে অন্যমনস্কভাবে কি যেন একটা খুঁজছিল, হাতের পেপার ওয়েটটা ঘোরাতে ঘোরাতে। জুতোর শব্দ পেতেই
“থ্যাংক ইউ সো মাচ স্যর” করমর্দন করে হাসিমুখে এইচ আর হেড-এর রুম থেকে বেরলো অভ্র। চাকরিটা পাকা হয়ে গেছে। নীচে নেমে মাকে ফোনে শুধু বলল, “বাড়ি গিয়ে যা বলার বলবো,
।।৫।। মানুষের সময় সবসময় একরকম যায় না। আর কথাতেই আছে, সুখ ক্ষণস্থায়ী। বাবাই-এর জীবনটাও তাই। বাবার রিটায়ারমেন্টের পর ওর উপার্জনে যেই সংসারটা একটু স্বচ্ছলতার মুখ দেখতে শুরু করেছিল তখনই এরকম
“তাড়াতাড়ি ওঠ বাবাই, রোজ রোজ এই সকালে তোকে ডাকা আমার আর পোষায় না। আজও কী ক্লাসে যাবি না নাকী? এবার বের করে দেবে কলেজ থেকে|” পেঁয়াজগুলো কুচিয়ে হাতটা ধুতে ধুতে
।।৫।। গভীর নিম্নচাপের কারণে, পুরো কলকাতা আজ কার্যত ভাসছে, জল জমে অচলাবস্থা বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে। বসার ঘরে টিভিতে কলকাতার অবস্থা যতই দেখাচ্ছে, ততই টেনশন বাড়ছে নীলিমা দেবীর। পইপই করে বারণ
।।১।। “ফিরতে রাত হবে, খেয়ে নিও” বলতে বলতেই পা-এর চটিখানা গলিয়ে বেরিয়ে এল ফ্ল্যাট থেকে সাগ্নিক। মোবাইলে টাইমটা দেখলো, সময় তখন ৮টা। সিগারেটটা ধরিয়ে হাঁটা লাগালো, সামনের গলিটা পেরিয়েই ডান
।।১।। -“ম্যাম, আপনার কালকের মিটিংটা পোস্টপন্ড করে দিচ্ছি তবে।” -“হ্যাঁ, আর শোন, খুব দরকার না হলে আমায় ফোন করো না কাল, ওকে? চলো, আমি বেরচ্ছি।” ব্যাগটা নিয়ে অফিস থেকে বেরতে