অন্যরকম

।।১।। সে অনেক কাল আগের কথা।তা প্রায় ১৫ বছর তো হবেই। তখন আমি পোস্টিং নিয়ে বাঁকুড়া গেছি সবে।  একটা স্কুলবাড়ির কাজ নিয়ে। আমার বয়স তখন কত হবে ? মেরে কেটে ৪০।

।।১।। কলকাতার বাইরে এই প্রথম পা রাখল ঈশা। মা বাবার একমাত্র আদুরে মেয়ে, তার উপর বাড়ির সব থেকে ছোট সদস্য, একটু বেশিই আদরের। কিন্তু চাকরির পোস্টিং যেখানে, ছাড়তে তো হবেই,

‘রামধনু ‘ এপার্টমেন্টে সবে দিন পনেরো এসেছে কুন্তলরা। বেশ কিছুদিন ধরেই কথা চলছিল, কিছুতেই আর সব ঠিক হচ্ছিল না। অবশেষে এই মাসের প্রথমেই একটা শুভ দিন দেখে গৃহপ্রবেশ করে উঠে

।। ১।।   “আর মোটামুটি কতক্ষণ লাগবে?” ঘড়িটার দিকে একবার দেখে প্রশ্ন করল শ্রী। ও চলছে আগে আগে, পুপু আর টিকলি চলছে একটু তফাতে, প্রত্যেকের হাতেই একটা করে ছোট ট্রলি। রোদটা

।।১।। পাঁচমাথার মোড় গাড়িটা যখন সিগন্যালে দাঁড়াল তখন বাইরে কাঠফাটা রোদ্দুর, বিগত কিছুদিন ধরেই প্রচন্ড গরমে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত, সামনেই একটা লস্যির দোকানে বেশ ভিড়, লোকজন এই গরমে একটু লস্যি

।।১।। “ফেরার সময় বাবার ওষুধগুলোর সাথে কিছু খাবার দাবারও কিনে নিস কিন্তু, আজ সন্ধ্যে বেলা মঞ্জু মাসির আসছে। মনে আছে তো? কাল ফোন করেছিল।” থালায় জলখাবারটা বাড়তে বাড়তে বললেন রমলাদেবী।

সাকসেসের সংজ্ঞাটা ঠিক কি? রাজীব যদি সত্যিই আজ নিজের জীবনটা গুছিয়ে থাকে তাহলে আজ ওর পাশে কেউ নেই কেন ? নিজের ভালো তো সবাই ভাবে, তাহলে রাজীব আজ সবার কাছে স্বার্থপর কি করে? নন্দিতাও তো কই নেই পাশে। তাহলে? কোথাও ব্যস্ততার অজুহাতে বন্ধুত্বর মানেটাই কি বোঝা হয়ে ওঠেনি রাজীবের?

।।১।। “কুটলু বাবু, আমি কিন্তু এবার খুব রেগে যাব, এদিকে এস, সারা মুখে লাগাচ্ছো, কুটলু, কুটলু।।।” আড়াই বছরের কুটলুর পিছনে ছুটল পরমা। অরুণবাবু বেড়িয়েছেন শনকা দেবীকে নিয়ে। পরমার উপর ভার সবকিছুর।

।।১।। সাউথসিটির ১২তলার বিলাসবহুল এই ফ্ল্যাটে এখনও সকাল হয়নি। সূর্যের আলো ঘরে ঘরে উঁকি দিলেও এই ঘরে দিতে পারেনি, দামী পর্দা পেরিয়ে তার ঢোকার অনুমতি নেই কিনা। ঘড়ির কাঁটা জানান

“থ্যাংক ইউ সো মাচ স্যর” করমর্দন করে হাসিমুখে এইচ আর হেড-এর রুম থেকে বেরলো অভ্র। চাকরিটা পাকা হয়ে গেছে। নীচে নেমে মাকে ফোনে শুধু বলল, “বাড়ি গিয়ে যা বলার বলবো,