আমার বাপি

||১||

“ওঠ বাবা, অনেক বেলা হলো, পড়তে যেতে হবে তো |”-তমালকে ঘুম থেকে তুলতে নিত্যদিনের প্রয়াস, তমাল বেচারা সকাল সকাল একদম উঠতে পারে না, খুব কষ্ট হয় ওর, কিন্তু উঠতে তো হবেই | হয় পড়তে যাওয়া, নয়তো কাজে বসা, নয়তো নিজের পড়া, ঘুম আর হয় না |

“কীরে উঠবি তো? দ্যাখ চেয়ে কটা বাজে”, এবার গলা খাঁকারিটা জোরালো | ধড়মড়িয়ে উঠল তমাল, তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিয়ে বেরতে গেল, তখনই মুখের সামনে এক গ্লাস দুধ ধরল তমালের বাবা রতন বাবু, একা হাতে সবটুকু সামলে চলেছেন ইনি সেই কবে থেকে |

“উফফ, বাবা, তুমিও না ! আবার দুধ কেন?”,বলেই বাবার হাত থেকে দুধের গ্লাসটা নিল তমাল |

“খা খা, নাহলে খাটবি কী করে, অনেক খাটতে হবে, শিখিয়েছিনা তোকে”, ছেলেকে কথাটা বলতে বলতে বলতে ব্যস্ত হাতে ঘরের কাজ গোছাচ্ছিলেন রতনবাবু | তমাল দুধটা খেয়ে গ্লাস রেখে তখনকার মতন বেরিয়ে গেল |

****************

তমাল দত্ত, বাবাই, রতন দত্তর একমাত্র ছেলে, তমালের জন্মের দু’দিন পরই যমে মানুষে টানাটানি করতে করতে ওর মা মারা যায় | তারপর থেকে রতনই বাবাই-এর মা, বাবা সবকিছু | বাবাইদের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভাল না, রতন একাই এতদিন দোকান সামলাত, এখন বাবাই-ও হাত লাগায় বাবার সাথে | ওদের ছোট একটা তেলেভাজার দোকান আছে, বাবাই বাবাকে সাহায্য করে, কর্মচারী রাখার সামর্থ্য নেই তাদের |

****************

টিউশন থেকে ফিরে বাবার রান্না করা ভাত আর ডিমের ঝোল খেয়ে স্কুলে গেল বাবাই | বাবাই-এর এ বছর ক্লাস নাইন হলো | ছেলেকে স্কুলে পাঠিয়ে দোকানের ঝাঁপ খুলল রতন, সকালে দোকান খুলতে একটু দেরীই হয় ওর, সবটা সামলে আসতে, ছেলেকেও তো দেখতে হবে, ওর প্রতি কোনরকম অবহেলা একদম মানতে পারে না রতন | একমাত্র ভরসাই বলো, অবলম্বনই বলো, সবই এই বাবাই, তার জন্যই সবকিছু, তাই ওকে সব গুছিয়ে দিয়ে এসে দোকান খোলে রতন, সব একা হাতে করতে করতে বিক্রিবাটা শুরু হতে হতে এগারটা বাজে |

গাঙ্গুলী বাবু কুড়িটা কচুরি দিতে বলে জিজ্ঞেস করল,”তা কী গো রতন, তোমার ছেলের কী খবর?”

রতন খাবার গোছাতে গোছাতে হাসি মুখে উত্তর দিল,”তা ভালোই গো দাদা, তোমাদের আশীর্বাদে এবার কেলাস নাইন |”

রতনের ছেলে বাবাইকে পাড়ার সবাই-ই স্নেহ করে, রতন যেভাবে এত লড়াই করে একা হাতে ছেলেটাকে বড় করছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়, সবাই তাই এখন রতনের দোকান থেকেই কেনে | এভাবেই চরম ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে ঘড়ির কাঁটা এগোতে লাগলো |

||২||

পুরনো ঝরঝরে সাইকেলটা নিয়ে মাঠের পাশ দিয়ে আসছিল বাবাই, আজ মনটা একদম ভাল নেই, ওর সব বন্ধুরা কলকাতা যাচ্ছে, খেলা দেখতে, কিন্তু ও খুব ভাল করে জানে, বাবাকে বললেই বাবা ‘না’-ই বলবে | ধ্যুত, ভালো লাগে না, কবে যে বড় হবো, নিজের মত থাকতে পারবো, এসব ভাবতে ভাবতেই সাইকেল নিয়ে হুহু করে এগোতে লাগল ও | পড়ন্ত বিকেলে মাঠের পাশে বেশ ঠান্ডা হাওয়া দিচ্ছে, এই সময়টা বাবাই-এর খুব প্রিয়, একদম নিজস্ব, কেউ এর ভাগ বসাতে পারবে না | মিঠে হাওয়া আর নরম আলো পেরিয়ে বাবাই-এর সাইকেলটা এগোতে লাগল, টালির চাল দেওয়া বাড়ির সামনে দাঁড়াল, এসে গেছে ওর বাড়ি | সাইকেল রেখে ঘরে ঢুকতে ঢুকতেই পেঁয়াজ রসুনের গন্ধ পেল, বাবা নিশ্চয় ভাল কিছু বানাচ্ছে, গন্ধেই মনটা ভরে গেল, সচরাচর তো ভাল কিছু হয় না, তাই একদিন হলেই মনটা অনেক বেশি খুশি হয়ে যায় | বাবার মুডও তার মানে ভাল আছে, এইভেবে এগোল রান্না ঘরের দিকে বাবাই | বাবা লুচি আর আলু পেঁয়াজের দম বানাচ্ছে, বাবাই-এর জন্য, বাবার হাতের এই পদটা খুব প্রিয় ওর |

বাবা ছেলেকে দেখেই হাসিমুখে বলল,”যা যা তাড়াতাড়ি হাত মুখটা ধুয়ে না, লুচি ঠান্ডা হয়ে যাবে নয়তো, তোকে খাইয়ে আমায় দোকান খুলতে হবে, যা যা |”

****************

মনের সুখে লুচি তরকারি মুখে পুরতে পুরতে কথাটা পাড়ল বাবাই | রতন তখন দ্রুত হাতে রান্না ঘরের কাজ সারছে, প্রবল গরমে গায়ের জামা ভিজে গেছে, ঘর্মাক্ত ক্লান্ত শরীরটাকে টেনে হিঁচড়ে বেরিয়ে গেল রতন, কোন উত্তর দিল না | খুব রাগ হলো বাবাই-এর | বাবার এই এক দোষ, যেটা অপছন্দ, কিচ্ছু বলে না, কোনো উত্তর দেবে না, খালি কথা বন্ধ করে দেবে, খুব রাগ ধরে তখন বাবাই-এর, বাবাই কী খারাপটা বলছিল? ইডেন গার্ডেনে একবার খেলা দেখার খুব শখ, এই ব্যস, টিকিটের দাম একটু বেশি, তো বাবা যদি বাবাইকে এতই ভালবাসে, এটুকু দিতে পারবে না, হুহ, ভাবতে ভাবতে আবার দোকানের দিকে পা বাড়াল বাবাই | এখন একটু বাবাকে ও সাহায্য করে | দোকানে পৌঁছাতেই দেখল বাবা একই ভাবে ঘেমে নেয়ে খেটে চলেছে, দম ফেলার ফুরসৎ নেই মানুষটার, সারা মুখ, শরীর ঘামে ভেজা | বাবাকে দেখে খুব কষ্ট হচ্ছিল হঠাৎ বাবাই-এর | বাবা এত খাটছে শুধু ওর জন্য, ঘর সামলে আবার দোকান… | ওর লেখাপড়ার খরচ, সংসারের খরচ সব কিছুর ঠিকঠাক যোগান দেয় বাবা, হাসিমুখে | বাবাইকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রতন চোখের ইশারা করল ছেলেকে, বাবাই দোকানে ঢুকে কাজে হাত লাগল |

||৩||

বাবাই আর রতনের সম্বল বলতে একটা দু কামরার টালির ছাউনি দেওয়া একতলা স্যাঁতস্যাঁতে বাড়ি, ঝরঝরে সাইকেল, আর ওদের লাগোয়া দোকানটা | কিন্তু ঘরে ঢুকলে বই-এর সম্ভার ঈর্ষণীয়, রতন কোনদিনই নিজের দোকান আর ছেলের লেখাপড়া, বই-এর ক্ষেত্রে কার্পণ্য করেনি | রতনের মতে যে তোমায় খাবার যোগাচ্ছে আর যে জোটাবে, সেখানে কোন খামতি রাখতে নেই, তাই নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করে রতন, কোথাও খামতি না থাকে |

***************

বাবাই গরীব বাবার ছেলে হলেও নিজের মেধার জোরে আর বাবার চেষ্টায় ওদের বাড়ির কাছের ভালো স্কুলেই পরে | স্কুলে ওর বন্ধুরাও ওকে খুব ভালবাসে, পাশে থাকে, কিন্তু হাতের পাঁচটা আঙ্গুল তো সমান হয় না | তাই ক্লাসের অন্যান্য ছেলেদের টিফিন বক্সে পাস্তা, চাউ থাকলেও ওর টিফিন কৌটোয় ওর বাবার বানানো রুটি তরকারিই থাকে রোজ | আড়ালে আবডালে এসব নিয়ে কথাবার্তা শুনলেও তেমন আমল দেয় না ও, এই যেমন খেলা দেখতে যাওয়াটা মাথায় চাপলেও বাবার ক্লান্ত চোখ দুটো দেখেই মনে একটাই চিন্তা এসেছিল তখন, “বাবা, আমি আর তোমায় বেশীদিন খাটতে দেব না, দেখো “, মাথা থেকে বেরিয়ে গেছিল দামী টিকিট কেটে দামী জায়গায় ঘোরার চিন্তাগুলো |

**************

সাইকেল নিয়ে রোজকার মতন মাঠের পাশ দিয়ে ফিরছিল বাবাই | আজ মনটা একটুও ভাল নেই, খুব কষ্ট হচ্ছিল, আজ ক্লাসে কয়েকটা ছেলের সাথে ঝামেলা লেগেছিল ওর, ওরা ক্লাসে মোবাইল এনেছিল, স্মার্ট ফোন, স্কুলে সেটা অ্যালাউড নয় | বাবাই ক্লাসের মনিটর, ওদের এই নিয়ে বলায় খুব খারাপ ব্যবহার করে ওরা, খানিক কথা কাটাকাটি, হাতাহাতির পর টিচার ওদের শাস্তিও দিল | কিন্তু, বাবাই-এর মনটা ভার হয়ে রইল, ওদের কথাগুলোর জন্য,” তোর কাছে তো স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ কিছুই নেই, এখন টেকনোলজি কোথায় এগিয়েছে খেয়াল আছে?”,”তোর কী মনে হয় শুধু এই বই পড়ে তুই পারবি কম্পিটিশনে টিকতে?”,”কোনদিন তো চোখে এসব দেখিসনি, তাই এত হিংসে তোর”,ইত্যাদি ইত্যাদি |

সত্যিই কী ও পিছিয়ে পড়ছে? নম্বর তো ভালই পায়, ল্যাপটপ, স্মার্ট ফোন না থাকলে কী সত্যিই ও পারবে না ভালো রেজাল্ট করতে? খুব রাগ হচ্ছিল নিজের উপর, নিজের ভাগ্যের উপর, বাবার উপর, কেন, ও-ই কেন? ওর-ই মা নেই কেন? ওর-ই বাবা গরীব কেন? সব খারাপ ওর সাথেই কেন?

বাড়ি পৌঁছে সাইকেল ঢুকিয়ে জুতোগুলো কোনোরকম খুলে ঘরে ঢুকে গেল বাবাই | রতন তখন ছেলের পছন্দের চাউ বানাচ্ছে, নতুন সবজি কিনে এনে, ছেলের এরকম ব্যবহার দেখে রতন বুঝল কিছু হয়েছে |

**************

খুব খিদে পেয়েছিল, চাউ-টা ঝটপট খাচ্ছিল বাবাই, কিন্তু মুখ দেখে বোঝাই যাচ্ছিল কিছু তো হয়েছে | খানিকক্ষণ পর রতন জিজ্ঞাসা করল,”কী হয়েছে না বললে বুঝব কী করে বলতো বাবা?”

ঘি-তে আগুন পড়াটাই বাকী ছিল, খাওয়া হয়েই গেছিল, উঠে পড়ল বাবাই,”তোমায় বলে কোন লাভ নেই, তাই বেকার জিজ্ঞেস করো না, পারবে না কিছু করতে |”

ছেলের এরকম ব্যবহার দেখে খুব অবাক হলো রতন, এত ঔদ্ধত্য ! কিছুক্ষন চুপ থেকে অবশেষে বলল রতন,”তুই বলেই দেখ না পারি কী না |”

বাবাই তখন স্কুলের ব্যাগ থেকে বইগুলো বের করছিল, একটু জিরিয়ে বাবার দোকানে যাবে, তার মধ্যেই রতনের এই কথাগুলো কানে যেতেই বাবাই-এর মাথায় আগুন জ্বলে উঠল,”তোমায় বললাম তো পারবে না, তাও সব জানা চাই তাই না? শোনো তবে, ল্যাপটপ চাই ল্যাপটপ | দেখেছ কোনদিন? নাম শুনেছ কখনো? দাম জানো কত? পারবে দিতে আমায় ত্রিশ হাজার টাকা? কেন তবে বারবার এক কথা বলে বিরক্ত করছ? আমারই কপাল খারাপ, আমি গরীব ঘরে জন্মেছি, আমার মা-ও নেই, বাবার একটা ছোট্ট দোকান, সব দোষ আমার ভাগ্যের, ধ্যুর |”….. একটানা এতগুলো কথা বলে একটু বিরতি নিল বাবাই |

রতন বিহ্বল দৃষ্টিতে তাকিয়ে, বুঝতে পারছে না বাবা হিসেবে কী এতটাই খামতি থেকে গেছল? ছেলেকে কী পারছে না সবটুকু দিতে? পারছে না ছেলের প্রয়োজন মেটাতে? কিচ্ছু বলতে পারল না রতন, চোখে নিজের অজান্তেই জল এসে গেছে আজ, অনেকদিন পর | আজ আর দোকান খুলবে না, মন শরীর কোনটাই সাথ দিচ্ছে না, চলে গেল রতন, পাশের ঘরে |

||৪||

আজ রান্না ঘরেও আর আগুন জ্বলেনি এখনও, দোকানও বন্ধ, রতন নিজের ঘরে | বাবাই-ও বাবার সাথে এরকম ব্যবহার করে বড্ড কষ্ট পাচ্ছে, মাথা ঠান্ডা হয়েছে ওর এখন, বুঝেছে কতটা ভুল করে ফেলেছে ও, যে মানুষটা সেই ছোট্ট থেকে সবকিছু থেকে একা হাতে আগলে রেখেছে, আজ তাকেই এভাবে কষ্ট দিলো বাবাই, ছি ছি | বাবা তো আপ্রাণ চেষ্টা করছে, এই সময় বাবার পাশে না থেকে বাবার সাথে এরকম ও করলো কী করে?

আর স্থির থাকতে পারছিল না বাবাই, গেল বাবার ঘরে, বাবা ট্রাঙ্ক খুলে কীসব খুঁজছে | কাছে গিয়ে দেখল মা-এর গয়নাগুলো, যেগুলোতে বাবা শত কষ্টতেও হাত দেয়নি, বাবা বলতো, তোর মা-র জিনিস, তোকেই দেব, তুই যখন অনেক লেখাপড়া করবি, তখন তো অনেক খরচ, তখন এসব তোর কাজেই লাগবে |

সেই গয়নাগুলো বের করেছে বাবা, আর জমানো সামান্য পুঁজি, বাবাই গিয়ে বাবার কাছে বসলো | রতন তাকিয়ে দেখল, ছেলের চোখে জল,”আরে বাবু কাঁদিস না আর, তোর যা চাই দেব আমি, তুই একদম ভাবিস না, একটু সময় লাগবে, কিন্তু তোর বাবা ঠিক দেবে তোকে…”|

রতনকে থামিয়ে বাবাই বাবাকে জড়িয়ে ধরল বাচ্চার মত, ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলল,”আমার কিছু চাই না বাপি, তুমি থাকলেই হবে শুধু, তুমি খালি ভালো থাকো, ব্যস |”

রতনের দুঃখ, অভিমান গলে জল তখন, বাবাই-এর চোখ মুছিয়ে বলল,”শোন বাবু, তোর লেখাপড়ার জন্য যা চাই, যা কিছু, তোর বাপি যতদিন বেঁচে আছে, যেভাবে হোক এনে দেবে, তুই শুধু মন দিয়ে লেখাপড়া কর, তোকে অনেক বড় হতে হবে, তোকে আমি বড় মানুষ দেখতে চাই, এটা মনে রাখবি, আর কষ্ট সব মানুষের জীবনে আছে, সেগুলো নিয়েই এগোতে হয়, এত তাড়াতাড়ি ভেঙে পড়লে হবে? যত কষ্ট আসবে, তত দৃঢ় হবি তুই, মোকাবিলা করতে পারবি, বুঝলি বাবু?”

-“হ্যাঁ, বাবা, তুমি আর আমার উপর রেগে নেই তো?”

-“নারে, পাগল একটা |”

-“আমি ঠিক পারব দেখবে বাপি, আমার এসবের কোন প্রয়োজন নেই | আমি ঠিক পারব |”

-“তোর সমস্ত দরকার আমি পূরণ করব, তুই শুধু পড় |”

এক লহমায় বাবাই যেন আরও একটু বড় হয়ে গেল, বাবা ওর চোখের জল মুছিয়ে দিয়ে রান্না ঘরে গেল | বাবার চোখ থেকে হয়তো জল পড়ছে না, কিন্তু মনের রক্ত ক্ষরণটা হচ্ছেই, তা বুঝে গেছে বাবাই | মনে মনে প্রতিজ্ঞা করল, বাবাকে ভাল রাখবই, আমি বাবাকে আর বেশীদিন এত কষ্ট করতে দেব না |

**************

বাবা খেতে ডাকলো কিছুপর, বাবাই তার বাবার সাথে বসে তৃপ্তি করে ভাত, ডাল, আলুসেদ্ধ, ডিমসেদ্ধ খেল, যা কয়েকশ’ টাকার বিরিয়ানি, কাবাবের থেকে অনেক তৃপ্তিদায়ক |

খাওয়া শেষে আজ নিজের বাপির কোলেই মাথা রেখে পরম শান্তিতে ঘুমোল বাবাই, আবদার মাথায় হাত বুলিয়ে দাও | রাত্রে বাবাই-এর ঘুম ভাঙতে বাবার ক্লান্ত মুখটা দেখে খুব কষ্ট হচ্ছিল ওর | বাবার পা টিপে দিতে দিতে একসময় আবার ঘুমে ঢলে পড়ল, বাবার পা-র কাছেই |

বাবা ছেলেতে মিলে মান অভিমানের পালা সেরে আবার নতুন করে শুরু করল কঠিন লড়াইটা, সমস্ত বাধাকে পিছনে রেখে, চোখে হাজারো স্বপ্নকে সঙ্গী করে, দাঁতে দাঁত চেপে টিকে থাকার লড়াই |

তুলিকা রায়ের কলমে দুটি ভিন্ন স্বাদের সেরা উপন্যাস একসাথে মাত্র ৯৯/- টাকায় -

Share with

এরকম আরো কিছু গল্প

মুক্তি

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়ে গেল, আকাশ তখন থেকে ঠায় বসেই রয়েছে ঘাটে। এখন বাঁধানো ঘাট থেকে করিডোর হয়ে বাবা বিশ্বনাথের মন্দিরে পুজো দেওয়া অনেকটা সহজ

Read More »

বন্ধু হবি চল

বাক্সপেটরা নিয়ে স্টেশনেই বসে ছিল নয়না, বৃষ্টি পড়েই চলেছে, মুষলধারায়। বাবা বলল আরেকটু অপেক্ষা করতে, এত বৃষ্টিতে তো ছাতাও হার মানবে, আর বেরিয়ে রাস্তাও অজানা

Read More »

টিফিনবাক্স

প্রতিবারের মতন এই বছর ও সমস্ত সরঞ্জাম গুছিয়ে বেরোনোর জন্য ব্যস্ত অমিত, অন্তত সন্ধ্যার মধ্যে বেরোতে না পারলে খুব মুশকিল। পুজোর দিকটা কতদূর কি হলো

Read More »

ক্লিক

।।১।। -“মালিনী, কালকের মিটিংটা কখন ফিক্স করেছ? -“ম্যাম, সকাল ১১টা।” -“ওকে, কনফার্মেশন পেয়ে গেছ?” -“ইয়েস ম্যাম।” -“ওকে গুড। আর।।। এক মিনিট।।।” টেবিল থেকে ফোনটা তুলে

Read More »

শিক্ষা

।।১।। দাপুটে, বদরাগী, মেজাজি এই সব কটা বিশেষণই বেশ ভালো যায় মিসেস বোসের সাথে। রেণুকা বোস আর অমরনাথ বোস সানফ্লাওয়ার এপার্টমেন্টে ১২০০ স্কোয়ারফিটের ফ্ল্যাট 2c

Read More »

বিদায়

।। ১।। রীতিমত জোর করেই নন্দিনীকে পাহাড়ে নিয়ে এলো সঙ্গীতারা। আসার ইচ্ছে তো ছিল না ওর একদমই, শরীর সাথ দিলেও মনটা কোনোভাবেই সাথ দিচ্ছে না।

Read More »

Share with