পাপ-চক্র

pap chakra muktodhara story image

 pap chakra muktodhara story image

||১||

-“স্যার, ২২ নম্বর বেডের পেশেন্টকে সামলানো যাচ্ছে না, আবার ভায়োলেন্ট হয়ে উঠেছে, আপনি কি যাবেন একবার?”

‘উদয়ন’ মানসিক হাসপাতালের ডঃ শ্যামল বসুর চেম্বার | ল্যাপটপে হাতের আঙ্গুল গুলোর চলা ফেরা থামিয়ে মাথা তুলল ডঃ বসু | চশমাটা খুলে টেবিলে রেখে দিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল শুধু |

-“চল আমি আসছি “

*******************

 -“তুই যা, যা না, আমি চাই না তোকে দেখতে | উফফ, কি বীভৎস! চলে যা, চলে যা “| বিড়বিড় করতে করতে মাথা ঠুকতে লাগল ২২নম্বর বেডের রোগীটি | পেশেন্টের নাম সৌগত বসু, সন অফ ডঃ শ্যামল বসু |

||২||

 -“কীরে, আজও টিফিন আনিসনি?”

-“না মানে,….|”

-“থাকে আর কিছু বলতে হবে না, এনে আমি স্যান্ডউইচ এনেছি, খা |”

-“তুই খাবি না?”

-“খাব, তুই না খেলে কিভাবে খাব বল | খা আগে তুই |”

সৌগত আর মৃন্ময়, দুই অভিন্ন হৃদয় বন্ধু, সেই ছোট্ট থেকে | ওরা  ছোট থেকে একই স্কুলে পড়তো, স্কুল পেরিয়ে কলেজ, আড্ডার ঠেক, দূর্গা পুজো, সরস্বতী পুজো, ভ্যালেনটাইন পুজোতে দুইবন্ধু একে অপরের কাঁধে মাথা রেখে নাকি কান্না, সবেতেই দুজন একসাথে, সবদিন | খাওয়া, ঘুম, পড়াশোনা, সবেতে একে অপরের সাথী |

সৌগতর বাবা ডাক্তার হিসাবে পরে খ্যাতি অর্জন করেন, কিন্তু প্রথম দিকে পসার অতটাও জমেনি | এদিকে মৃন্ময় গরীব ঘরের ছেলে | বিধবা মায়ের সামান্য আয়ই ভরসা | মৃন্ময় ছোট থেকেই কত তাড়াতাড়ি মা-র পাশে দাঁড়ানো যায় সেই ভেবে রাতদিন লেখাপড়া করত, যাতে দ্রুত নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে |

সৌগত আর মৃন্ময়ের বন্ধুত্ব এতটাই গাঢ় ছিল যে সৌগত-র বাবা পরবর্তী কালে পসার জমার পর ছেলেকে নামি দামী স্কুলে ভর্তি করতে চেয়েছিলেন, সৌগতই যায়নি | সৌগত-র বাবা মৃন্ময়ের থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছিলেন নিজের ছেলেকে, কিন্তু পারেননি | দূরে রাখার বিশেষ কারণও ছিল |

||৩||

দুই বন্ধুর সবেতেই মিল, কী খাবার, কী পোশাক, সবকিছুই দুজনের এক চাই | মৃন্ময়ের মা মজা করে বলতেন,”যখন বিয়ের বয়স হবে দুজনেই একটা বৌ পছন্দ করিস না আবার, যা মিল তোদের |”

তখন ওই কথা শুনে সৌগত বলত,”মৃন্ময়ের জন্য আমি সব ছাড়তে পারি | ও ভাল থাকলেই আমি ভাল থাকি |”

মৃন্ময় বলত,”সৌগত কিছু চায় আর আমি দেব না, তা কী কখনো হয়? ” মৃন্ময়ের মা দুজনকে দেখে চোখ জুড়াতেন |

কিন্তু মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক | সমাজের চারপাশটা এত বিষাক্ত যে ঐ সারল্য ভরা দুটো মনকেও বিষাক্ত করতে যথেষ্ট ছিল |

||৪||

নিজের নিয়মে সময় এগিয়েছে | সৌগত আর মৃন্ময়ের জীবনে আসে প্রেম | তবে প্রেম তার নিজস্ব সৌরভ নিয়ে আসেনি, এসেছিল মারণ বিষ নিয়ে | যে বিষ শুধু তাদের আলাদা করেই theme থাকেনি, ক্ষতি করেছিল অপূরণীয় | আর কে না জানে প্রেম আর নারীকে কেন্দ্র করে পৃথিবীতে বড় বড় যুদ্ধ বেঁধেছে | সৌগত আর মৃন্ময়ও তার অন্যথা হয়নি |

রিয়া, এই একটা নাম সৌগত আর মৃন্ময়ের জীবন তছনছ করার জন্য যথেষ্ট দায়ী ছিল |

*****************

(কিছু বছর আগের কথা…)

“ভাই, এবার মনে হয় একটা প্রেম করতেই হবে”- সৌগত নিজের দামি সোফায় এলিয়ে বলল মৃন্ময়কে |

“তুই কর | আমি নেই এসবের মধ্যে | এসবের চক্করে লেখাপড়ার যেন ক্ষতি না হয় |”- মৃন্ময় |

“আরে ধুর, প্রেম এখন করবি না তো কী বুড়ো বয়সে করবি? সে তুই না করলে না কর, আমার একটা হেল্প করে দে না |”- সৌগত |

“বল কী করতে হবে?”-মৃন্ময় |

“ঐ যে রিয়া, ঐ মেয়েটাকে আমি ভালবেসে ফেলেছি | তুই প্লিজ আমার লাইনটা সেট করে দে না |”- সৌগত |

“আমি? আমি কিভাবে সেট করব? আমার দ্বারা এসব হবে না, ধূর |”- মৃন্ময় |

সৌগত-“আরে তুই খালি রিয়ার মনে আমার একটা জায়গা তৈরি করে দে | ওর সাথে বন্ধুত্ব কর, তারপর গ্রিন সিগন্যাল পেলে আমি ঠিক টাইমে প্রোপোজ করে দেব | প্লিজ, প্লিজ আমার জন্য এটুকু করতে পারবি না ভাই?”

মৃন্ময়-“উফফ সেন্টিমেন্টাল সুড়সুড়ি দিস না, তুই জানিস আমি তোর জন্য সব করব |”

সৌগত-” এই তো আমি জানি তুই করবি, বেস্ট ফ্রেন্ড বলে কথা |”

মানুষ er জীবন তো মর্জি মাফিক চলে না আর প্রেমের ক্ষেত্রে তো কিছু ভাবা বা করা, উর্ধে থাকে সবকিছু |

রিয়া প্রেমে পড়ে যায় মৃন্ময়ের | মৃন্ময়েরও শেষ অবধি কিছু করার ছিল না | নিজেকে অনেক সংযত রাখার চেষ্টা করেও ভালবেসে ফেলে ও রিয়াকে | বন্ধুকে দেয়া কথা রাখতে না পারলেও সৎ ছিল সে, তাই বন্ধুকে ঠকাতে পারেনি | সমস্ত সত্যি কথা এসে জানায় সৌগতকে | বার বার ক্ষমাও চায় নিজের দেয়া কথা না রাখতে পারার জন্য | মনটা বেইমানি করেছে বটে, কিন্তু, বন্ধু চাইলে বন্ধুর জন্য নিজের ভালবাসাকে ভুলতেও রাজি | কিন্তু রিয়াও যে মৃন্ময়কে ভালবাসে | তাই অবশেষে জয় হয় ভালবাসার | সৌগতও হাসিমুখে বন্ধুর খুশির জন্য কবর দেয় নিজের ভালবাসার |

****************

 “সৌগত বিহেভ ইওরসেলফ, নিজের বাড়িতে, বাবার সামনে মাতাল অবস্থায় দাঁড়াতে লজ্জা করছে না তোমার? এই তোমার শিক্ষা, রুচি, আমি তো ভাবতেও পারছি না | এই মুহূর্তে আমার সামনে থেকে চলে যাও |”- ডঃ শ্যামল বসু নিজের ছেলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিজের দেয়া শিক্ষার জন্যই আক্ষেপ করতে লাগলেন |

‘যদি শক্ত হাতে রাশ ধরতাম তা হলে আজ এই দিনটা আসত না | মা মরা ছেলেটার জন্য কোনদিন একটু সময় বার করিনি, শুধু পয়সায় রোজগার করেছি |’- মনে মনে ভেবে নিজেকে ধিক্কার দিলেন ডঃ বসু | ‘ হবে নাই বা কেন, কোন রুচির মানুষের সাথে মিশেছে এতদিন, একটা লোয়ার মিডল ক্লাস ফ্যামিলি | প্রথমেই আমার বোঝা উচিত ছিল |”

****************

(কিছুদিন পর….)

মৃন্ময়ের বাড়ির সামনে একটা দামী গাড়ি থামল | ‘সৌগত তো বাইকেই আসে আজ হঠাৎ গাড়িতে’- হাতের কাজ সারতে সারতে ভাবলেন সুধা দেবী, মৃন্ময়ের মা |

-“আমার জীবনে তো কাল সাপ-এর মতো বসেছিলে, তবু শান্তি হয়নি, এখন ছেলেটাকেও শেষ করবে?”

হঠাৎ চিরপরিচিত কণ্ঠস্বরে fire তাকালেন সুধাদেবী |

“তোমায় না বলেছি তুমি কখনো আসবে না আমার বাড়ি, তাও কেন এসেছো?”- সুধা দেবী |

“আসতাম না, এই লোয়ার মিডল ক্লাস ঘরে আসার কোন ইচ্ছেই আমার ছিল না | যদি না সৌগতকে এই অবস্থায় দেখতাম | ও তো এখানেই পড়ে থাকে, নিশ্চয় জানো কী হয়েছে?”- ডঃ বসু |

“না আমি জানি না | ওর কী হয়েছে আমি সত্যিই জানি না, আর দয়া করে আমার বাড়িতে পা রেখে আমার বাড়িটাকে অপবিত্র করো না | তুমি আমার কাছে সেদিনই মরে গেছিলে, যেদিন সম্পত্তির লোভে, নিজের উচ্চাকাঙ্খা পূরণের লোভে নিজের প্রথম প্রেমকে জলাঞ্জলি দিয়েছিলে; সৌগতর মায়ের হাত ধরে ছিলে | তোমার মুখ আমি দেখতে চাই না | দয়া করে এসো এবার |”- বলে দরজার দিকে ইশারা করেন সুধাদেবী |

দরজায় সপাটে একটা ঘুসি মেরে বেরিয়ে যায় ডঃ বসু | ঠিক এই কারণেই উনি কোনদিন চাননি ওনার ছেলে সৌগত, একটা ফালতু, সেন্টিমেন্ট সর্বস্ব একটা মহিলার সংস্পর্শেও থাকুক | মনে মনে বললেন ডঃ বসু,’ আজ তোমার হাত ধরে বসে থাকলে শ্যামল বসু আজ ডঃ বসু হতে পারতো না | হু হু, যত্তসব | আমার বাবার ক্ষমতা ছিল না আমায় ডাক্তারি পড়ায়, না তোমার বাবার কোন ক্ষমতা ছিল | প্রেম নয়তো স্বপ্ন যেকোনো একটাকে পেতে আরেকটাকে ছাড়তেই হতো | আমি তোমায় ছেড়ে দিয়েছি, ব্যস | শ্বশুর টাকা না ঢাললে আজ ওই তোমার মতো মিডল ক্লাসই থাকতাম |’

বেরিয়ে গেল গাড়িটা | সুধাদেবী নিজের মৃত স্বামী পরিতোষ বাবুর সামনে দাঁড়িয়ে চোখের জল ফেলছিলেন | একসময় এই শ্যামলের জন্যই কলেজে রোজ টিফিন বানিয়ে নিয়ে যেতেন | যাকে ঘিরে সবটুকু দুনিয়া ছিল, সেই যখন টাকার লোভে পিঠে ছুরি মারে তখন তাকে ঘেন্না ছাড়া আর কী করা যায়? ভাগ্যবান মনে করেন নিজেকে সুধাদেবী যে পরিতোষ বাবুর মত একজন সৎ মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসাবে পেয়েছিলেন , কিন্তু মানুষটাকে বেশিদিন কাছে পেলেন না |

এমন সময় পাড়ার ছোটকু খবর দিল, “মৃন্ময় দা-র এক্সিডেন্ট হয়েছে গো, তুমি তাড়াতাড়ি হাসপাতাল চলো |

 

…..নাহ মৃন্ময়ের এক্সিডেন্ট তার কোনো কিনারা হয়নি | দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যায় মৃন্ময় | সুধা দেবী, রিয়া স্বাভাবিক ভাবেই খুব ভেঙে পড়েন | সৌগতকে একদমই সামলানো যাচ্ছিলো না | সৌগতকে এতটা ভেঙে পড়তে ডঃ বসু কোনদিন দেখেননি |

||৫||

(উদয়ন মানসিক হাসপাতাল – এখন….)

 “কীরে তুই খেলি না? তুই না খেয়ে থাকলে আমারও তো কষ্ট হয়, বুঝিস না?”….

“তুই আবার এসেছিস, আবার? আসবি না আমার কাছে, তোর ঐ বীভৎস মুখ… উফফ মাগো, চলে যা, মুক্তি দে আমায় | চলে যা মৃন্ময় |” -সৌগত চেঁচিয়ে ওঠে |

হেসে ওঠে মৃন্ময়ের ছায়া মূর্তি, যাকে শুধু সৌগতই দেখতে পায়, আর কেউ না | বিশ্বের কাছে সৌগত উন্মাদ, কিন্তু সৌগত জানে মৃন্ময়ের আত্মা ওকে ছাড়েনি | সবসময় ওর কাছেই আছে |

ছায়ামূর্তিটি আবার বলে ওঠে,”কী করব বল? তোকে যে কথা দিয়েছিলাম তোকে ছেড়ে কোথাও যাব না, কী করে যাই? আর এই মুখ বীভৎস তো তোর জন্যই হয়েছে রে | সবাই তো জানে ওটা অ্যাক্সিডেন্ট ছিল | কিন্তু তুই তো জানিস সত্যিটা কী? অ্যাক্সিডেন্ট তো তুইই করিয়েছিলি | কেন এরকম ছেলেমানুষি করলি বলতো? মা,রিয়ার কথাটা একবারও ভাবলি না? ভাগ্যিস আর কেউ সত্যিটা জানে না, নয়তো ‘বন্ধুত্ব’ শব্দটা থেকে সবার বিশ্বাসই উঠে যাবে |”

সৌগত নিজের মাথাটা চেপে ধরে পাগলের মতো বলে ওঠে,”নিজের সবকিছু তোকে ছোটবেলা থেকে দিয়ে এসেছি | নিজের ভালবাসাটাও যখন চলে গেল আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি | এবার অন্তত আমায় মুক্তি দে |”

ডঃ বসু ঘরে ঢুকলেন | উন্মত্ত পাগল ছেলেটাকে বাবা নিজের হাতে ইনজেকশন দিয়ে শান্ত করেন | হঠাৎ হঠাৎ এত ভায়োলেন্ট হয়ে যায় যে সামলানো যায় না | কোথা থেকে যে কী হয়ে গেল? এরকম কিছু হবে স্বপ্নেও কখনো ভাবেননি | একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজের কৃতকর্মের জন্য নিজেকে আরও একবার ধিক্কার দেন, যেটা এতদিন ধরে দিয়ে এসছেন | ‘যে অন্যায় আমি সুধার সাথে করেছিলাম, সেই পাপের-ই ফল হয়তো আমি এভাবে পেলাম | আমার তো এখন ক্ষমা চাওয়ারও মুখ নেই | সারাজীবন শুধু নিজের স্বপ্ন,নিজের ইচ্ছাই ভেবে গেলাম আর আজ সর্বহারা হয়ে বসে আছি | তোমার সাথে যে বিশ্বাস ঘাতকতা আমি করেছি তার কোন ক্ষমা নেই সুধা | আজ আমি তা বুঝতে পেরেছি | সেই পাপের শাস্তি এখন এভাবে পাচ্ছি |’

এদিকে, সৌগত ঘুমে ঢলে পড়ে হাসপাতালের বেডে | ঘুম থেকে জাগলেই যে আবার প্রকট হবে মৃন্ময়ের সেই বীভৎস ছায়া মূর্তি | সৌগত নিজের রক্তাক্ত হাতটা দেখে শিউরে উঠবে আরও একবার | এভাবেই হয়তো নিজের নারকীয় কুকর্মের প্রায়শ্চিত্ত করবে সৌগত, সারাজীবন | যার থেকে এই জীবনে আর ওর মুক্তি নেই….

….একেই হয়তো বলে পাপচক্র | 

তুলিকা রায়ের কলমে দুটি ভিন্ন স্বাদের সেরা উপন্যাস একসাথে মাত্র ৯৯/- টাকায় -

Share with

এরকম আরো কিছু গল্প

মুক্তি

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়ে গেল, আকাশ তখন থেকে ঠায় বসেই রয়েছে ঘাটে। এখন বাঁধানো ঘাট থেকে করিডোর হয়ে বাবা বিশ্বনাথের মন্দিরে পুজো দেওয়া অনেকটা সহজ

Read More »

বন্ধু হবি চল

বাক্সপেটরা নিয়ে স্টেশনেই বসে ছিল নয়না, বৃষ্টি পড়েই চলেছে, মুষলধারায়। বাবা বলল আরেকটু অপেক্ষা করতে, এত বৃষ্টিতে তো ছাতাও হার মানবে, আর বেরিয়ে রাস্তাও অজানা

Read More »

টিফিনবাক্স

প্রতিবারের মতন এই বছর ও সমস্ত সরঞ্জাম গুছিয়ে বেরোনোর জন্য ব্যস্ত অমিত, অন্তত সন্ধ্যার মধ্যে বেরোতে না পারলে খুব মুশকিল। পুজোর দিকটা কতদূর কি হলো

Read More »

ক্লিক

।।১।। -“মালিনী, কালকের মিটিংটা কখন ফিক্স করেছ? -“ম্যাম, সকাল ১১টা।” -“ওকে, কনফার্মেশন পেয়ে গেছ?” -“ইয়েস ম্যাম।” -“ওকে গুড। আর।।। এক মিনিট।।।” টেবিল থেকে ফোনটা তুলে

Read More »

শিক্ষা

।।১।। দাপুটে, বদরাগী, মেজাজি এই সব কটা বিশেষণই বেশ ভালো যায় মিসেস বোসের সাথে। রেণুকা বোস আর অমরনাথ বোস সানফ্লাওয়ার এপার্টমেন্টে ১২০০ স্কোয়ারফিটের ফ্ল্যাট 2c

Read More »

বিদায়

।। ১।। রীতিমত জোর করেই নন্দিনীকে পাহাড়ে নিয়ে এলো সঙ্গীতারা। আসার ইচ্ছে তো ছিল না ওর একদমই, শরীর সাথ দিলেও মনটা কোনোভাবেই সাথ দিচ্ছে না।

Read More »

Share with