ঘরে ফেরা

।।১।।

“হ্যাঁ মা, পৌঁছে গেছি, একটু পরেই ফ্লাইট টেক অফ করবে, তোমরা এত টেনশন কোরো না, বাই ।”

ফোনটা ফ্লাইট মোডে দিয়ে গুছিয়ে বসল বহ্নি । চোখ মেলে তাকাল বাইরের জানলার দিকে, আজ কতদিন পর ও নিজের ঘরে ফিরছে । ওর মনের ভিতরকার উত্তেজনা বলে বোঝানো সম্ভব না । প্রতিবারই কিছু না কিছু প্রব্লেম হয়ে যেতো, যাওয়া আর হতো না । মা বাবা আগে এখানে থাকতে তো কোনো যাওয়ার প্রশ্নই ছিল না । মা বাবা দেশে ফেরার পর তাও ফেরার তাগিদটা একটু হলেও জেগেছে । আজ তাই কত বছর পর ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরছে, তাও এমনি না, দুগ্গা মা-এর সুবাদেই এবারের ঘরে ফেরাটা ।

**************

ফ্লাইট টেক-অফ করলো । আবেশে চোখ বুজল, আজ খুব নিরুদ্দেশের পথে হারাতে চাইছে মনটা, বাঁধন ছাড়া, এলোমেলো ভাবে । নিজের অগোছালো ভাবনায় ডুব দিল বহ্নি ।

।।২।।

বহ্নির মা বাবা প্রথম থেকেই কাজের সূত্রে প্রবাসী । যদিও বহ্নির ছোটবেলা কেটেছে ওদের আদি বাড়িতে, ঠাকুমা, ঠাকুরদা, দাদু দিদা, কাকু কাকিমা সবার আদর ভালবাসায় কেটে গেছিল বছরগুলো । ঐ মানুষগুলো কোনদিন বুঝতেও দেয়নি মা বাবার না থাকাটা । পি.এইচ.ডি-র জন্য যখন বহ্নি বিদেশ গেল, তখন একদিকে যেমন নিজের স্বপ্নকে ছোঁয়ার বিপুল আনন্দ ছিল, তেমনি কাছের মানুষগুলোকে ছেড়ে চলে যেতে হবে বলে চোখদুটোও ভিজেছিল ।

সময় কারো জন্য থেমে থাকে না, বহ্নি বিদেশে আসার পর মা বাবার সাথে নতুন পরিবেশের সাথে দিব্যি মানিয়েও নিয়েছে, কিন্তু কোন না কোনভাবে পুজোয় ঘরে ফেরা আর হয়নি, ফেলে আসা নিজের বাড়ির দুর্গাদালানে আর পা রাখা হয়নি । তাই আজ তিনবছর পর যখন নিজের বাড়ি, নিজের বাড়ির পুজোয় ফিরতে পারছে তখন গলার কাছে জমাট বেঁধে থাকা আকুল আনন্দটা যেন চিরে বেরিয়ে আসতে চাইছে, যেন বলতে চাইছে, “মা, আমি আসছি ।”

বহ্নির বোজা চোখ দুটোয় নোনতা জলের আভাস যদিও সেটা আজ কোন দুঃখের চিহ্ন নয়, বরং আনন্দের, ঘরে ফেরার আনন্দ ।

।।৩।।

“আরে দাদা, লাইটটা এইদিকে লাগান, ওখানে কেন দিচ্ছেন?”

মিস্ত্রিদের সাথে চরম ব্যস্ত এখন আকাশ । সেই ব্যস্ততার মাঝেই হঠাৎ একটা আওয়াজে পিছন ফিরে তাকাল…. বহ্নি !

আকাশ, বহ্নির জাড়তুতো দাদার জুনিয়র, সেই সূত্র থেকেই আলাপ, সেই ছোট থেকেই আকাশের এ বাড়িতে যাতায়াত । আকাশ এখন একটা এম.এন.সি তে কর্মরত । বহ্নি, আকাশের থেকে বছর দেড়েক-এর ছোট হলেও ওদের মধ্যে সম্পর্কটা তুইতোকারির-ই আর বন্ধুত্বটা খুব মধুর ।

****************

এবাড়িতে দুর্গাপুজোয় চারদিন ধরে পাত পেরে খাওয়া, থেকে ঢাকের বাদ্যি, ধুনুচি নাচ, কলাবৌ স্নান, খুঁটিনাটি সবটুকু খুব খুব মিস করেছে বহ্নি ।

থামওয়ালা দালান পেরিয়ে নিজের ঘরটায় ঢুকে প্রানভরে একটা লম্বা স্বাস নিল আগে ও, উফফ, কি শান্তি ! খড়মড়িয়ালা জানলায় গরাদ ধরে দাঁড়াল বহ্নি, সামনেই দুর্গাদালানটা দেখা যায়, জোর কদমে চলছে কাজ, আর যে মাত্র কয়েক ঘন্টা ।

****************

“ওঠ, মা ওঠ, কলাবৌ স্নান করে চলে এল যে, ওঠ দিদিভাই”, ঠাম্মির সেই চিরপরিচিত প্রশ্রয়সুলভ স্নেহের ডাকে ঘুম ভাঙল আজ বহ্নির, কতদিন পর আবার সব আগের মত, জানলার গরাদ বেয়ে তখন পুব আকাশের লালচে আভাটা ঢুকছে ঘরে, আলোয় যেন ঝিলিক মারছে মেহগনি কাঠের পালংক, আজকাল হাল ফ্যাশনের আসবাব ফিকে সেই আভিজাত্যের কাছে ।

চোখ কচলে উঠল বহ্নি ।

খানিক পরে শাড়ী পরে যখন নীচে নামল বহ্নি, তখন ঠাকুরদালানে ব্যস্ততা তুঙ্গে । কাঁচা হলুদ রঙের শাড়িতে বহ্নির টুকটুকে মুখটায় যখন সূর্যের আলো পড়ছিল, ঠিক তখনই ফুলের ডালা হাত থেকে পিছলোতে গিয়ে কোনোক্রমে বাঁচে আকাশের ।

কই এর আগে তো কখনও হয়নি এরকম? আকাশ চেয়েছিল বহ্নির মুখের দিকে, নির্মল, পবিত্র, নিজস্বতায় পরিপূর্ন, মেকী প্রসাধন যাকে স্পর্শ করেনি । এর আগেও বহুবার দেখেছে, কিন্তু আজ, এই দুর্গাদালানে, মা-এর সামনে এ’কোন জাদু হলো আকাশের মনে কে জানে ।

****************

ঘরে ফিরে দরজা দিল বহ্নি । আয়নায় নিজেকে দেখছিল দাঁড়িয়ে, আকাশদার চাহনিটা আজ বড় আলাদা লাগলো, কী ছিল সে চাহনিতে জানা নেই, তবে অন্য সবদিনের থেকে অনেকটা আলাদা সেটা । ঘরের সামনের বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াল বহ্নি, দুর্গাদালানে তখনও ব্যস্ত আকাশদা, বহ্নির দিকে ফিরে তাকাতেই কেমন ধক করে উঠল বহ্নির বুকের ভিতরটা । ঘরে চলে গেল ও । বিদেশে লেখাপড়া করলেও নিজের দেশের রুচি, সংস্কৃতি, শিক্ষার অভাব কোনদিনই ছিল না বহ্নির । তাই ‘লজ্জা’ নামক আবেগটাও ওর মধ্যে সাবলীল ভাবে মিশেছিল ; প্রেমের পূর্বরাগ, রাঙা আবিরের মত ছড়িয়ে পড়ছিল বহ্নির মনে ।

।।৪।।

                 “নমস্তসৈ নমস্তসৈ ….”

অষ্টমীর অঞ্জলি চলছে, ধুপ ধুনোর গন্ধ, ঢাকের বাদ্যি, মন্ত্রের গুরুগম্ভীর আওয়াজে জমে উঠেছে এই বাড়ি । দুধে আলতা রঙের একটা শাড়ী পড়েছে আজ বহ্নি, অঞ্জলি শেষে ফুল ছুঁড়তে ছুঁড়তে গিয়ে চোখ চোখ, আকাশদাকে আজ পেস্তা রঙের পাঞ্জাবিতে দুর্দান্ত লাগছিল, বহ্নি কয়েকমুহূর্তের জন্য তাকিয়ে সেই দিকেই, কেউ কি কারো দিকে এভাবে তাকালে সে-ও বুঝতে পারে? আকাশদাও তাকালো বহ্নির দিকে, তাড়াতাড়ি চোখটা নামিয়ে নিল বহ্নি । চারপাশে তখন ফুলের আনাগোনা, মায়ের পায়ে নিবেদনের জন্য, কৌতূহলবশত আরও একবার কয়েকমুহূর্ত পর ফিরে তাকাল বহ্নি, আকাশদা যে এখনও তাকিয়ে ।

তাড়াতাড়ি দালান থেকে নিজের ঘরে চলে এল বহ্নি । এ কী হচ্ছে ওর সাথে । ও কি…? না, না । আচ্ছা আকাশদার এরকম চাহনি তো আগে কখনও দেখেনি, তাহলে কি আকাশদাও ওকে…?

একটা অদ্ভুত ভয়, তার সাথে মিশে অনেকটা ভাললাগার একটা মিশ্র অনুভূতি অনুভূত হচ্ছিল বহ্নির মনে । ও আকাশদাকে ভালবাসতে…। নাহ, আর ভাবতে পারছে না ও, একরাশ ভালোলাগা আর স্বপ্ন চোখে নিয়েই কোলবালিশ মুখ লুকোল বহ্নি ।

******************

খড়খড়ি দিয়ে মিথ্যে রোদ জানান দিচ্ছে পড়ন্ত সোনালী দুপুরের অস্তিত্বটার… দাবার ছকের মেঝেয় হাত পা ছড়িয়ে আড্ডায় মগ্ন এই জেনারেশনের সব কচি কাঁচা বাচ্চাগুলো । গল্প, গান, খেলা সব চলছে । গল্পে গল্পে বারবার উল্টো দিকে বসা মানুষটার চোখে চোখ হয়েই যাচ্ছিল বহ্নির । মিলন হচ্ছিল দুটি মনের…. কোনো শব্দ খরচ না করেই । অষ্টমীর দুপুর, নীচে সন্ধি পুজোর আয়োজন… আর ঘরে সাবেকি ঝাড়বাতি আর জানলার রঙ্গিন কাঁচগুলোকে সাক্ষী রেখে শুরু হচ্ছে যেন একটা নতুন উপাখ্যান… প্রেমের ।

*******************

বহ্নির মন থেকে কেউ যেন বলেই দিচ্ছে… হ্যাঁ.. যা হচ্ছে ঠিক হচ্ছে, এর থেকে ভাল আর যে কিছু হওয়ারই নেই… থেমে যাক না মুহূর্তগুলো… দীর্ঘতম হোক এই পুজোর ক’দিন… এই বাড়িতে কাটানো ক্ষণগুলো… এই ভাল লাগার মুহূর্তগুলো ।

******************

সন্ধি পুজোর ১০৮ প্রদীপ শিখা, ধুনোর গন্ধ, ঘন ধোঁয়ার আবেশে সুরভিত, সুসজ্জিত এই দুর্গাদালান । ঢাকের বাদ্যির তালে দুলছে সবার মন, আনন্দে, উল্লাসে । তারই মাঝে সাবেকী সাজের সাথে পাল্লা দিয়ে সাজানো লাল, নীল, বেগুনী, সবুজ চুনি আলোগুলো আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বাড়ির সাজটা । গোলাপী কাঞ্জিভরম, কানে ঝুমকো, চোখের কাজলের সাথে জুড়েছে এই চুনি আলোগুলোর অবাধ্য যাওয়া আসা, মিষ্টি মুখতার উপর ।

আকাশ যে আর পারছে না চোখ ফেরাতে, চুপ থাকতে । এবার বোধ হয় শব্দ বিনিময়ত বড্ড জরুরি ।

*****************

প্রেমের সুগন্ধ যে বড় মধুর, তাই একে চাইলেও চেপে রাখা যায় না, প্রেমের সুবাস যে ছড়িয়েই পড়ে । পুজোর শেষে পাত পেড়ে পুরো বসু পরিবার ভোগ খেতে বসে । খেতে বসে বহ্নির প্রতি একটু বেশিই সজাগ যেন আজ আকাশ, এটা বহ্নিরও চোখ এড়াল না ।

*****************

রাত্রে, নিজের ঘরের সামনের বারান্দাটায় একলা দাঁড়িয়েছিল বহ্নি । থামে জড়ানো আলোর ঝিকিমিকির দিকে তাকিয়েছিল আনমনে । রাত অনেক, তবে কটা খেয়ালই নেই । হঠাৎ, পাশে কারো উপস্থিতি বুঝে ফিরে তাকাতে দেখে আকাশ ।

-“কিরে, এখনও ঘুমাসনি?” আকাশদা আলোর কারসাজিগুলোর দিকে চোখ রেখে কথাটা বলল ।

-“এই প্রশ্নটা তো আমিও করতে পারি?”

বহ্নি হাতের আংটিটা ঠিক করতে করতে উত্তর দিল, মুখে দুস্টু হাসি, থামে জড়ানো লাল নীল আলো আভা ফেলছে বহ্নির মুখে ।

-“আমার এখন চোখে ঘুম নেই, শয়নে স্বপ্নে এভাবে এলে কী ঘুমানো যায়?”

বহ্নি ক্ষনিকের জন্য অপ্রস্তুত হয়ে আকাশদার চোখের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করল, “কার জন্য?”

-” তুই জানিস না কার জন্য?”…. আকাশদার সেই চাহনি রাতের আলোর রোশনাই-এ সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, কিছু লুকানোর নেই, ব্যক্ত হচ্ছে নিজের মনের কথাগুলো যেন নিজেরই মানুষটার সামনে । লজ্জা, ভয়, কোনকিছুই সেই না বলা শব্দগুলোকে বাঁধতে পারছে না, চাহনিই সব বলে দিল বাহিনীকে । বহ্নি সবটা বুঝে কী বলবে তখন? ওর এখন সব থেকে বেশি দরকার যে নিজের সাথে কথা বলার । আর কথা বাড়াল না বহ্নি, এগোল নিজের ঘরের দিকে, কোনো উত্তর না দিয়েই ।

আয়নার সামনে নিজের সাথে কথা বলতে বসল বহ্নি । ভীষণ, ভীষণ আনন্দ হচ্ছে, ওর যাকে ভাল লাগে, তারও ওকে ভাল লাগে, এটা জানার পর সেই আনন্দ বলে বোঝানোর নয় । কিন্তু তাও মনে একটা খটকা কেন? এত সুন্দর সময়, আলোয় গানে মাতোয়ারা চারদিক, সেই সাথে ভালোলাগার মানুষের সাথে এত ভাল মুহূর্ত, সবই তো ঠিক, একদম পারফেক্ট, কোন রূপকথার থেকে কম নয় । আর আকাশদাকে কোনদিন ভালো লেগে যাবে বহ্নি স্বপ্নেও ভাবেনি । নিজের মনে নিজে লজ্জা পেল ও, কখন যে ঘুমপাড়ানি মাসি পিসি সেই সুযোগে চোখের পাতায় ভর করলো, টেরই পায়নি ।

******************

( নবমীর সকাল )

-“কী, ঘুম কেমন হলো কাল? স্বপ্নচারিনী আর ঘুম ওড়াল?” মুচকি হাসি হেসে, প্রশ্নটা করল বহ্নি ।

-“স্বপ্নচারিনী নিজে ঘুমে বিভোর, সে কী আর আমার কথা ভাবছে?”

-“ভাবছে, হয়তো তুমি বুঝতে পারছো না ।” বলেই সেই চাহনিতে আজ তাকাল বহ্নি, ওর আকাশদার দিকে, যে দৃষ্টিতে কাল আকাশদা ওকে নিঃশব্দে নিজের ভালোবাসা জাহির করেছিল ।

-“যদি ভাবে, তাহলে আজ ঠিক রাট ৮টায় সে আমার জন্য অপেক্ষা করবে, বাবলুদার দোকানের সামনে, দেখা যাক ।”

।।৬।।

(কয়েক মাস পর)

ভালোলাগার ঘোরটা কাটল, চোখ খুলল বহ্নি, হারিয়ে গেছিল বিগত কয়েক মাসের অমূল্য স্মৃতিগুলোর ভিড়ে । অমূল্য? নাকি মূল্যহীন, কোনটা? আর পাঁচজনের মত এখানেও তো আকাশ বহ্নির বিদেশে থাকা নিয়ে ভ্রু কুঁচকেছিল । তথাকথিত সমাজ, টিপিক্যাল মেল ইগোর বলি তো হতেই হলো বহ্নির ভালোবাসাকে । বহ্নিও পারেনি নিজের এত বছরের কঠোর পরিশ্রমকে জলাঞ্জলি দিতে । একে যদি স্বার্থপরতা বলো তবে তাই, নিজের ভাল বোঝাটা যদি স্বার্থপরতা হয়, হ্যাঁ তবে তাই । ছেলেরা স্বার্থপর হলে কোই কোন দোষ হয় না তো ।

*****************

বহ্নি আর আকাশের সম্পর্কটা শুরু হতে না হতেই ধাক্কা খেয়েছিল এতগুলো প্রশ্নচিহ্নের সঙ্গে । বহ্নি তো বাইরে থাকে, আকাশ ইন্ডিয়াতে , তাহলে? কী হবে? স্বাভাবিকভাবেই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বহ্নির স্যাক্রিফাইস-এর দিকেই পাল্লাটা ঝুঁকেছিল । কিন্তু না, বহ্নি তাকায়নি, ফলস্বরূপ সম্পর্কটা ইতি টেনেছিল ওখানেই ।

আকাশদাকে একটু ভিড়ের থেকে আলাদা মনে হয়েছিল বহ্নির,…. কিন্তু না, সবাই-ই এক । আলাদা, অন্যরকম বলে কিছু হয় না আসলে ।

*****************

হাঁটতে হাঁটতে কখন নিজের বাড়ির কাছে পৌঁছে গেছে খেয়াল করেনি । কিন্তু একী? আকাশদা এখানে কী করছে? ও এখানে কীভাবে? আর এতদিন পর কেন? অনেক প্রশ্ন ভিড় করছিল বহ্নির মনে ।

-” তুই না হয় ওদেশে আসতে পারবি না, আমি তো এদেশে আসতেই পারি, তাই না?”

-“মানে?”

-“মানে আবার কী? এত মহান ভাবারও কিছু নেই, বদলি নিলাম এখানে । মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, একটু ঝক্কি পোহাতে হলো, কিন্তু ঠিক আছে, একটু এডজাস্ট তো একটা ছেলেরও করা উচিত, পরিপূরক কেন নয়তো? তুই পারবি না যখন আমি তো এখানে আসতেই পারি, তাই না?”

****************

নাহ, বহ্নি আর দেরি করেনি, ওর আকাশদাকে নিজের বাহুডোরে আবদ্ধ করতে । আজ দুগ্গা মাও যেন মিষ্টি হাসি হাসছেন, যে সম্পর্ক মা দুগ্গার সামনে শুরু হয়েছিল, সেটা ভেঙে যায়নি, বরং অনেক বাধা পেরিয়ে অবশেষে আরও দৃঢ়, পরিপূর্ন হলো আজ, নিজগুনে |

তুলিকা রায়ের কলমে দুটি ভিন্ন স্বাদের সেরা উপন্যাস একসাথে মাত্র ৯৯/- টাকায় -

Share with

এরকম আরো কিছু গল্প

তোমায় আমায় মিলে

।।১।। “উফফ! পা-টায় যা অসহ্য যন্ত্রনা করছে। সেই কখন থেকে দাঁড়িয়ে। আর পারা যায়?” হাতের , কানের গয়নাগুলো খুলতে খুলতে বলছিল কুহেলী। রাজীব ততক্ষণে মোবাইল

Read More »

নিভৃত যতনে

।। ১।।   কোর্টের বাইরে তখন খাঁ খাঁ করছে রোদ, ঘড়ির দিকে তাকাল একবার রিয়াঙ্কা, কোথা দিয়ে এতটা সময় চলে গেল বুঝতেই পারেনি। একবার বাবার দিকে

Read More »

সন্ধ্যে নামার আগে

।।১।। “প্লিজ তোমার ভাঙা রেকর্ডটা একটু বন্ধ কর তো, সবসময় ভালো লাগে না। একেই অফিসে এত কাজের প্রেশার, বাড়ীতে একটু শান্তিতে বসব, তাও দেবে না।”

Read More »

যদি

।।১।। “আর দেরী করলে কিন্তু, সত্যিই পৌঁছতে পারবে না, অলরেডি সাড়ে চারটে বেজে গেছে” মা-এর উদ্দেশ্যে চেঁচাল মৌমিতা, অয়নের দিকে একবার আড়চোখে তাকাল। অয়নও একটা

Read More »

তুমি রবে নীরবে

।।১।। “বাবু, তোকে আর কতবার বলতে হবে, রোজ একবার করে অন্তত প্র্যাকটিসটা করবি question bank টা। আজও তো করলি না।” পেটির মাছের পিসটা একমাত্র ছেলের

Read More »

একে একে এক

।।১।। চোখে সোনালী ফ্রেমের চশমার আড়ালে ঘন কালো কাজলে মোড়া বড় চোখদুটো সামনের দেবদারু গাছটার দিকে তাকিয়ে অন্যমনস্কভাবে কি যেন একটা খুঁজছিল, হাতের পেপার ওয়েটটা

Read More »

Share with