দূরে থেকেও ভালোবাসা যায়

 

dure thekeo valobasa jay bengali story image” গীতা মাসি দেখ তো কে এলো?” গীতা মাসিকে দরজা খুলতে বলে নিজের সোফায় বসে কফি মাগের গরম কফিতে ঠোঁট ডোবালো সীমন্তিনী  ওরফে সীমা | গীতা মাসি সীমার ফ্ল্যাটে সর্বক্ষণই থাকে, সারাদিন কাজ শেষে ফ্ল্যাটে ফিরে অন্তত দুটো কথা বলারও কেউ চাই | মা বাবাকে বার বার বলেও ভবানীপুরের বাড়ি থেকে এই ফ্ল্যাটে আনতে পারেনি সীমা | যদিও অত বড় বাড়ি থেকে কেই বা ফ্ল্যাটে থাকতে চায় ? সীমাও তাই আর জোর করেনি | ওর এই দুকামরার সাজানো ফ্ল্যাটেই ও বেশ আছে | চাইলে আরো বড় ফ্ল্যাট কিনতে পারতো, কিন্তু মা বাবা যখন এলেন না, তখন এটাই পছন্দ করলো সীমা |

এই বরং ভালো, অফিস থেকে ফিরে, সব থেকে পছন্দের হলো ওর এই কফি , আর বারান্দাটা | এখান থেকে আকাশটা যেন আরো একটু কাছে, আর চারপাশের কোলাহল থেকে অনেকটা দূরে, উপরে কালো আকাশে তারার খেলা আর নীচে তিলোত্তমার আলোর কারসাজি , ব্যস আর কি, ও আর ওর একাকিত্ব | একাকিত্ব এমন একটা জিনিস, একবার এর নেশা লাগলে ছাড়া খুব মুশকিল |

” এই নাও গো, চিঠি এসেছে” – গীতা মাসি চিঠিটা ধরিয়ে দিয়ে রান্না ঘরে চলে গেলো বকবক করতে করতে, ” এখন কার যুগেও চিঠি আসে বাব্বা !”

সীমন্তিনী গীতামাসির কথায় আলতো হেসে দেখলো চিঠিটার দিকে, আরে এটা তো ইউনিভার্সিটির চিঠি | ডিপার্টমেন্টাল রি-ইউনিয়ন যেটা পাঁচ বছর অন্তর অন্তর হয়, আগের বারে তো ওই ঘটনাটার পর যাওয়াই হয়নি | এবার আর মিস করা যাবে না | …………..আচ্ছা ওই ছেলেটাও কি আসবে? ………………………..উঠে পড়লো সীমা |

সামনের মাসে রি-ইউনিয়ন, কিছুটা সময় আছে, সব বান্ধবীদের সাথে কথাবার্তা বলে নিতে হবে একবার | কতদিন পর সীমা আবার যাবে ওই জায়গাটায়? ভেবেই কি আনন্দ হচ্ছে | ইউনিভার্সিটির ক্লাসরুম, ড্রয়িংরুম, ভিতরের দিকের বাঁধানো রক গুলো, যেখানে বসে ওরা আড্ডা দিতো ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে, প্রিয় ক্যান্টিন, কত্ত কত্ত স্মৃতি জড়িয়ে আছে, উফফ ! ওটাই জীবনের সেরা সময় গুলোর মধ্যে একটা ছিল |

ডিভোর্সের পর থেকেই জীবনটা কেমন বদলে গেছে | অথচ এরকমটা হওয়ার কি কথা ছিল? আজও সেই দিনটা মনে পরে সীমার যেদিন মিউচুয়াল ডিভোর্স হল সীমা আর দেবাশিষ-এর | অনেকটা সময় লেগেছিলো সীমন্তিনীর এটা বিশ্বাস করতে যে ওদের ডিভোর্স টা হয়েই গেলো |

এটা শুধু সীমন্তিনী আর দেবাশিষ কেন, কেউই স্বপ্নেও ভাবেনি, ওদের আপনজনেরাও |

দেবাশিষ সীমার এক্স-হাজব্যান্ড , ওরা দুজন অনেকের কাছে একটা ইনস্পিরেশন ছিল , ওদের ভালোবাসা দেখে ওদের বন্ধু বান্ধব, ভাই বোনেরা শিখেছে অনেক কিছু | তাই এরকম দুজন মানুষের বিচ্ছেদ শুধু ওরা কেন ওদের কাছের সব মানুষেরই মানতে সময় লেগেছিলো |

যা হয় , হয়তো ভালোর জন্যই হয় | এই ভেবে সীমা অন্যমনস্ক ভাবে রিমোট দিয়ে চ্যানেল ঘোরাতে লাগলো | – কোনো ইগোর লড়াই , কোনো শারীরিক নির্যাতন কিছুই ছিল না , তাও ঘরটা বাঁচানো গেলো না | দেবাশিষ হয়তো এতেই ভালো আছে | এসব ভাবতে ভাবতেই কখন ঘড়ির কাঁটায় দশটা ছুঁয়েছে, দেখেইনি সীমা | “কাল আবার অফিস আছে” এই বলে ভাবনায় দাঁড়ি টেনে উঠে পড়লো সীমা |

*******************

” হ্যাঁ, আমি ইউনিভার্সিটি গেটে, তুই কোথায় ?” পিলু ফোন করে সীমার কাছে জানতে চাইছে , বেচারা কখন থেকে দাঁড়িয়ে | কিছুক্ষনের মধ্যেই ওরা সবাই চলে এলো | ঢুকলো গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে | উফফ! হোয়াট এ মোমেন্ট | কত্ত বছর পর আবার সব একরকম , ওদের গ্রুপটা আবার একসাথে |

ওদের আড্ডা দেবার রকের সামনের জেরক্সের দোকানটা আর নেই | ভিতরের পার্কটা আছে এখনো ? যেখানে পি.পি স্যারের ক্লাস যাতে না করতে হয় তার জন্য এসে বসে থাকতো | ক্যান্টিন গুলো আগের থেকে অনেক সুন্দর হয়ে গেছে | ক্লাসরুম গুলো একই আছে, মান আরও উন্নত হয়েছে | সেই লাইব্রেরি ,হল, ড্রয়িং ক্লাস যেখানে ওরা কত গল্প করতে করতে কাজ করেছে | এই দ্যাখ আমি সেকেন্ড সিট টায় বসতাম, তুই আমার এই পাশটায় থাকতিস বল ? ল্যাব গুলোতে ও কত্তো স্মৃতি জড়িয়ে, মাঠটায় মনে আছে তোর হাতে লেগে গেছিলো ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে | এই সুদীপদার ক্যান্টিন-এর ডিম্ ম্যাগি মনে আছে ? ওটা খাবার জন্য কতক্ষন দাঁড়িয়ে থাকতাম | এরকমই কত গল্প চলতে লাগলো |

সীমা, পিলু, দিপু আর তিয়ার ভিতর, ওদের গ্রুপটা | ওদের, সব নাম গুলোই ভদ্রস্থ | কিন্তু এগুলো সব সর্ট ফর্ম হয়ে গেছিলো সেদিন যেদিন থেকে ওরা খুব খুব ভালো বন্ধু হয়ে গেছলো |

এভাবেই ঘুরতে ঘুরতে, দেখতে দেখতে, আড্ডা দিতে দিতে অনেক বেলা হয়ে গেলো | ক্লাসের সবার সাথে দেখা, স্যার ম্যাম-দের সাথে দেখা, সব মেটার পর একটু নিভৃতে আড্ডা দিতে ওরা কফি নিয়ে ওদের ফেভারিট আড্ডা দেবার রকটায় গিয়ে বসলো |

” বল তোর কি খবর? বরের খবর কি ?”

” আমার কথা আর বলিস না, সারাদিন খেটে খেটেই কেটে যায় | তোর ছেলে কত বড় হলো ? “

এভাবেই টুকরো টুকরো কথায় আড্ডা জমে উঠতে লাগলো | ওদের ক্লাসের আর একটা গ্রুপ ওদের ডাকলো, লাঞ্চ শুরু হয়ে গেছে, চলে আসতে |

কিন্তু এসব কিছুর ভিড়ে সীমন্তিনীর চোখ খুঁজছিলো ওই ছেলেটাকে | যে এখানেই প্রথম ওকে প্রেম নিবেদন করেছিল | আজ তো ওই ছেলেটারও আসার কথা | যে সীমার জীবনের প্রথম প্রেমিক | যাকে ভোলা সীমার পক্ষে কোনো দিনই সম্ভব নয় |

দিপুর ডাকে সম্বিৎ ফেরে সীমার | দিপু বলে, “এই সীমু, বলতো এবার পুরোটা | তোদের ডিভোর্সটার কথা শুনে তো নিজের কানকেও বিশ্বাস হচ্ছিলো না | এও সম্ভব? অনেকদিন হয়ে গেছে, এবার তো বল কি হয়েছিল?”

সবার চোখেই একই জিজ্ঞাসা ‘কি হয়েছিল?’ আর ‘কেন’ | সীমু আলতো হেসে উত্তর দিলো, “সব প্রশ্নের কি উত্তর হয় রে? না সব কিছুর কারণকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব? কিছুই হয়নি |”

দিপু বললো,” আরে ডিভোর্সএর কারনটা কি? তুইই বা দিতে রাজি কেন হলি?”

” রাজি হলাম কারন আমি বুঝতে পারছিলাম কোথাও একসাথে থাকতে গিয়ে আমাদের ভালোবাসাটাই হারিয়ে যাচ্ছে, তার জায়গায় আসছে তিক্ততা | এর থেকে দূরে থেকে যদি ভালোবাসা টুকু যত্নে থাকে, বেঁচে থাকে, তাই ভালো | অন্তত তিক্ততা তো নেই | “- এই বলে একজোড়া পায়রার দিকে তাকিয়ে আলতো হাসির সাথে দীর্ঘশ্বাস ফেললো সীমা |

” কি জানি, কি যে বলিস? তুই এখনো ভালোবাসিস দেবাশিষদা-কে ?” -পিলু বললো |

” আরে দেবাশিষদা? সিনিয়র দাদা হিসেবে তো জানতাম ভদ্র ভালোই, কিন্তু এসব তো ভাবতেই পারিনি | জানিস দেবাশিষদাও আর বিয়ে করেনি |”- দিপু |

” সে তো আমাদের সীমাও বিয়ে করেনি, একবার বলে ভালোবাসি, আবার বলে আলাদাই ভালো আছি | মাথায় ঢোকে না বাপু |”- তিয়া বলে উঠলো |

সীমা বললো,” দেবাশিষ ভদ্র ভালো এই নিয়ে তো কোনো সন্দেহই নেই | কিন্তু সবার ভাগ্যে কি সব থাকে রে পাগলী বল? তেমনি আমার ভাগ্যেও নেই | আর ও তো আমায় কোনোদিন অসম্মান করেনি, নাতো আমি ওকে করেছি | ইনফ্যাক্ট ওকে আজও সম্মান করি |”

এসব বলতে বলতেই সীমা হারিয়ে গেলো বেশ কিছু বছর আগের একটা টুকরো ঘটনায়, হয়তো আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ কিন্তু সীমার কাছে সাধারণ ছিল না |

সীমার জন্মদিন আর দেবাশিষ কিছু স্পেশাল করবে না, এটা হতেই পারেনা | প্রতিবারের মতোই সেবারও সীমা খুব একসাইটেড ছিল | দেবাশিষ অফিস বেরোবার সময় বলে গেলো রেডি থাকতে, সীমাও সেই মতো রেডি হয়ে ছিল দেবাশিষের অপেক্ষায় | সীমা দেবাশিষের উইশের অপেক্ষা করছিলো | কখন বলবে, কখন বলবে | দেবাশিষ এলও, কিন্তু সীমাকে নিয়ে গেলো নিজের এক অফিস কলিগের একটা নেমন্তন্ন রক্ষা করতে | সীমার জন্মদিনটা দেবাশিষের মনেই ছিল না |

সীমার চিংড়ি মাছে এলাৰ্জির, দেবাশিষ আগে সেটা খেয়াল রাখতো , কিন্তু কিছুদিন পরই এই ছোট খাটো ব্যাপার গুলো বড় হতে লাগলো | দেবাশীষ প্রায়ই চিংড়ি মাছ আনতো | সীমা যে এলাৰ্জির জন্য খেতেই পারলো না সেটা খেয়ালই রাখতো না |

দেবাশিষের মা সীমাকে কোনো কারণ ছাড়াই দোষারোপ করতে সিদ্ধ হস্ত ছিলেন | প্রথম প্রথম ব্যাপারটা দু’তরফ দেখে বিচার করলেও কিছুদিন পর থেকেই মা-কেই অন্ধ ভাবে সাপোর্ট করতো ও |

এভাবেই বিভিন্ন ঘটনায় দেবাশিষ যে তার প্রতি সম্পূর্ণ উদাসীন আসতে আসতে সেটা প্রকট হচ্ছিলো |

এমনকি বিয়ের পর থেকে ওরা হানিমুনে বা অন্য কোথাও ঘুরতে যায়নি | তাই সীমাই প্ল্যান করল, যাতে একসাথে কিছুটা সময় কাটানো যায় | দেবাশিষ রাজি হলো না | গেলে বাড়ির সবাইকে নিয়ে যাবে, এখন সে ক্ষমতা নেই | তাই যাওয়ার দরকার নেই |

এভাবেই একটু একটু করে কখন যে ওদের দুজনের মধ্যে একটা মস্ত প্রাচীর উঠে গেছল, বোঝাই যায়নি |

বাস্তবে ফিরে এলো সীমা , খেতে ডাকছে সব | উঠে পড়লো ওরা |

হঠাৎই চোখ গেলো পার্কের সামনের ফোয়ারা টার দিকে, যেখানে দাঁড়িয়ে ওই ছেলেটা প্রপোজ করেছিল সীমাকে |

খেতে ঢুকতে টার্ন নিতেই সীমা দেখলো সামনে দাঁড়িয়ে সেই ছেলেটা | যদিও এখন আর ‘ছেলেটা’ বলা যায় না | অনেক বয়স বেড়ে গেছে , ঝুলপিতে পাকও ধরেছে মনে হয় হালকা | সীমা সামনে এগিয়ে গেলো, ছেলেটিও হাসলো, প্রথম প্রেমিককে কি কখনো যায় ভোলা ? তা সে বিয়ে হোক, ডিভোর্স হোক, যাই হোক | সামনে দেখলেই কেমন শিহরণ জাগে |

সীমা বললো ,” কেমন আছো দেবাশিষ?’

সেদিনকার ছেলেটা আর কেউ না দেবাশিষই | সেই ছেলেটার রূপই মনে রাখতে চেয়েছে সীমা | পাল্টে যাওয়া দেবাশিষকে মনে রেখে কষ্ট পেয়ে কি লাভ?

দেবাশিষ বললো,” অনেক অনেক দিন পর দেখলাম, এখনো একই রকম আছো |”

সীমা- ” তুমি অনেক বদলে গেছ, চুলে পাক ধরেছে, চশমা হয়েছে, ভুঁড়িও হয়েছে |”

দেবাশিষ মেকি হেসে বললো, ” তারপর কেমন আছো তুমি?”

সীমাও হাসিমুখে উত্তর দিলো, ” বেশ ভালো | আসছি, আমার বন্ধুরা অপেক্ষা করছে |” বলে সীমা লাঞ্চ সেকশনে ঢুকলো |

অনেক আনন্দ করে দিনের শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হলো | এরকমই একটা মঞ্চে ও আর দেবাশিষ ‘ওথেলো’ করেছিল একসাথে | দেবাশিষের কি মনে আছে?

একটু দূরে দেবাশিষও তার বন্ধুদের সাথে অনুষ্ঠান দেখতে দেখতে একই কথা ভাবছিলো | সীমাকে বেরোতে দেখে দেবাশিষ পিছু নিল | এক এক করে সবাই বাড়ির পথে রওনা হচ্ছিলো | গেট থেকে বেরিয়ে সীমা ট্যাক্সিতে উঠতে যাবে এমন সময় দেবাশিষ পিছু ডাকল |

” চলে যাচ্ছ তাহলে?”- দেবাশিষ |

” হ্যাঁ, অনেক তো রাত হলো | এতটা রাস্তা যেতে হবে |”- সীমা |

” একটা কথা বলবো?” -দেবাশিষ |

” বলো”- সীমা |

” আমরা কি আবার নতুন করে পারি না শুরু করতে ?”- দেবাশিষ |

মৃদু হেসে সীমা বললো,” অনেক তো বয়স হলো দেবাশিষ, এবার তো একটু ম্যাচিওর হও | আসছি, ভাগ্যে থাকলে আবার দেখা হবে | গুড নাইট |” বলে সীমা ট্যাক্সিতে উঠে গন্তব্যর দিকে যাত্রা করল | একরাশ আলোর মাঝেও যেন অন্ধকার নিয়ে একা দাঁড়িয়ে রইলো দেবাশিষ |

জানলার কাঁচ দিয়ে শহরটাকে দেখতে দেখতেই দেখলো সীমা, জানলার কাঁচটা অকাল বর্ষণে ঝাপসা, সাথে ওর চোখও |

বিয়ের পর বাপের বাড়িতে এসে যখন আমার চিকেন পক্স হলো, তখন তুমি একবারও আমায় দেখতে আসোনি দেবাশীষ | যখন আমি জ্বরে কাতরাচ্ছিলাম তখন  তুমি ভুবনেশ্বরে কোনো প্রজেক্ট সামলাতেই ব্যস্ত ছিলে | আমাদের প্রথম সন্তানটা যখন নষ্ট হয়ে গেলো, বাড়ির সবার সাথে সাথে তোমার চোখেও যে দেখেছিলাম সেই একই প্রশ্ন | আমি কি কখনও মা হয়ে নিজের সন্তানকে অযত্নে মেরে ফেলতে পারি? ওটা তো একটা এক্সিডেন্ট ছিল | যখন তোমাকে আমার সব থেকে বেশী দরকার ছিল তখনই তুমি আমার পাশে ছিলে না দেবাশিষ |তাহলে আজ এসে কি লাভ? এর থেকে এই ভালো | তোমার নামটা আমি ভালোবাসার সাথে নিতে চাই, ঘৃণার সাথে নয় | এভাবে অন্তত আমার জীবনের প্রথম প্রেমিক বেঁচে থাকুক আমার মনে | কে বলেছে দূরত্বে ভালোবাসা মরে যায় ? আমি তো দূরে গিয়েও এখনো হয়তো তোমার মনে রয়ে গেছি, যেটা কাছে যখন ছিলাম ছিল না |

আবার শুরু কি সত্যিই করা যায়? কি জানি, অনেক কষ্টে নিজেকে সামলেছি | আরেকবার শেষ হওয়ার যন্ত্রণাটা যদি আর নিতে না পারি |

 

 

তুলিকা রায়ের কলমে দুটি ভিন্ন স্বাদের সেরা উপন্যাস একসাথে মাত্র ৯৯/- টাকায় -

Share with

এরকম আরো কিছু গল্প

মুক্তি

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়ে গেল, আকাশ তখন থেকে ঠায় বসেই রয়েছে ঘাটে। এখন বাঁধানো ঘাট থেকে করিডোর হয়ে বাবা বিশ্বনাথের মন্দিরে পুজো দেওয়া অনেকটা সহজ

Read More »

বন্ধু হবি চল

বাক্সপেটরা নিয়ে স্টেশনেই বসে ছিল নয়না, বৃষ্টি পড়েই চলেছে, মুষলধারায়। বাবা বলল আরেকটু অপেক্ষা করতে, এত বৃষ্টিতে তো ছাতাও হার মানবে, আর বেরিয়ে রাস্তাও অজানা

Read More »

টিফিনবাক্স

প্রতিবারের মতন এই বছর ও সমস্ত সরঞ্জাম গুছিয়ে বেরোনোর জন্য ব্যস্ত অমিত, অন্তত সন্ধ্যার মধ্যে বেরোতে না পারলে খুব মুশকিল। পুজোর দিকটা কতদূর কি হলো

Read More »

ক্লিক

।।১।। -“মালিনী, কালকের মিটিংটা কখন ফিক্স করেছ? -“ম্যাম, সকাল ১১টা।” -“ওকে, কনফার্মেশন পেয়ে গেছ?” -“ইয়েস ম্যাম।” -“ওকে গুড। আর।।। এক মিনিট।।।” টেবিল থেকে ফোনটা তুলে

Read More »

শিক্ষা

।।১।। দাপুটে, বদরাগী, মেজাজি এই সব কটা বিশেষণই বেশ ভালো যায় মিসেস বোসের সাথে। রেণুকা বোস আর অমরনাথ বোস সানফ্লাওয়ার এপার্টমেন্টে ১২০০ স্কোয়ারফিটের ফ্ল্যাট 2c

Read More »

বিদায়

।। ১।। রীতিমত জোর করেই নন্দিনীকে পাহাড়ে নিয়ে এলো সঙ্গীতারা। আসার ইচ্ছে তো ছিল না ওর একদমই, শরীর সাথ দিলেও মনটা কোনোভাবেই সাথ দিচ্ছে না।

Read More »

Share with